Thu. Nov 14th, 2024

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হকসহ (তিনি ব্যারিস্টার সুমন নামে অধিক পরিচিত) ৯৭ জনের নামে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

আজ বুধবার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হন। এ বিক্ষোভ চলাকালে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সায়েদুল হকের নির্দেশে একদল লোক আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের ওপর। এত অসংখ্য লোকজন আহত হন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এ আন্দোলনের সময় সায়েদুল হকের নির্দেশে আসামি মানিক সরকার তাঁর হাতে থাকা একটি রামদা দিয়ে উপজেলার বড়গাঁও গ্রামের অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। অপর আসামি কবির মিয়া খন্দকার বাদীকে একটি রড দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারধর করেন।

এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক সজল দাশ, তাঁতী লীগের সভাপতি কবির মিয়া খন্দকার, কাউন্সিলর আবদুল হান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান রজব আলী প্রমুখ।

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চুনারুঘাটের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি করেন বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান।

মামলায় ব্যারিস্টার সুমনসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন।

এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ নানা শ্রেণিপেশার অসংখ্য মানুষ রক্তাক্ত আহত হন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম রুবেল, ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, করিব মিয়া খন্দকার, আব্দুল হান্নান এবং রজব আলী।

বাদীর অভিযোগ, আন্দোলনের সময় ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে মানিক সরকার তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বড়গাঁও এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। আরেক আসামি কবির মিয়া খন্দকার তাকে রড দিয়ে মারধর করেন। এতে অলিউর রহমান গুরুতর আহত হন। অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারপিট করেন।

For More Information

By admin

Digital marketing batch- 213

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *